cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঙ্গরাজ্য হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ শতাধিক। যা দেশটির এক শতাব্দীর ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। দেশটির মাউই কাউন্টির ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
দাবানলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দাবানলের আগুনে ধ্বংসাস্তূপে পরিণত হয়েছে ঐতিহাসিক শহর লাহাইনা। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তথ্য অনুসারে লাহাইনাতে ২ হাজার ২০০টিরও বেশি কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং ২ হাজার ১০০ একরের (৮৫০ হেক্টর) বেশি পুড়ে গেছে। এসব কাঠামো পুনর্নির্মাণের খরচ অনুমান করা হয়েছে ৫৫০ কোটি ডলার।
হাওয়াইয়ের গভর্নর জোশ গ্রিন জানান, এখনো শ’খানেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। তাই নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিচয় সনাক্তে ফরেনসিক কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
মাউই দ্বীপের পশ্চিমাংশে এখনো বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ নেই। সেখানে দাবানলে ভুক্তভোগীদের খোঁজে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অনুসন্ধানী দলগুলো।
গভর্নর গ্রিন আরও বলেন, এখনও প্রায় এক হাজার ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি। নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে।
মাউই কাউন্টির পুলিশ প্রধান জন পেলেটিয়ার বলেছেন, আহত এবং মৃতদেহ উদ্ধারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
স্থানীয় গোষ্ঠীগুলো রেড ক্রসের মতো সংস্থাগুলোর মাধ্যমে, গৃহহীনদের জন্য খাবার, পানি এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। এর আগে মঙ্গলবার হাওয়াইয়ের পশ্চিম উপকূলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে এবং তা দ্রুততার সাথে সমুদ্র তীরবর্তী শহর লাহাইনাকে গ্রাস করে। এই উপকূলের কাছেই অবস্থান করা হারিকেনের প্রচণ্ড বাতাসে দাবানলটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। দাবানল এত দ্রুত ধেয়ে আসে যে, এতে বিভিন্ন রাস্তায় আটকে পড়ে এবং পালানোর জন্য অনেকে মরিয়া হয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।
এদিকে কর্মকর্তারা দাবানলের ভয়াবহতাকে অবহেলা করা এবং সতর্কবার্তা না দেয়ার কারণেই এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য ১০০০টি হোটেল রুম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে ১, ৪০০ জনের বেশি লোক নেয়া হয়েছিল বলে জানান তারা।
এছাড়া জরুরি পরিষেবার সংস্থার ১৫০ জন লোক ইতিমধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং অতিরিক্ত অনুসন্ধান দল এবং কুকুর দু’এক দিনের মধ্যে আসবে বলে জানান কর্মকর্তারা।